একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ নিয়ে নানা প্রশ্ন
বাংলাদেশে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একধরনের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা সহজেই দৃশ্যমান। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিকট ভবিষ্যতে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে কমবেশি সবাই চিন্তিত। সম্ভাব্য সেসব পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হলে আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক এবং শাসন পরিস্থিতি থেকেই আলোচনার শুরু করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ নিয়ে সংশয় ও সন্দেহের কারণ হচ্ছে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট।
যদিও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সমস্বরে বলছেন যে সংবিধানে বিবৃত ব্যবস্থা অনুযায়ী যথাযথ সময়ে সংসদ নির্বাচন হবে, তথাপি ইতিমধ্যে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ নির্বাচন হবে কি না। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারাও এ ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন হলেও তাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের বাইরে আর কারা অংশ নেবেন, তার কোনো ধারণাই কারও কাছে নেই। ১৪-দলীয় জোটের শরিকেরা ছাড়া আর কারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, এ বিষয়টি এই কারণে অস্পষ্ট যে এখন পর্যন্ত কোনো দলের নেতারা বলেননি যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবেনই। সরকারের অংশীদার এবং সংসদে ‘বিরোধী দলের’ দাবিদার জাতীয় পার্টির বক্তব্যের সারাংশ দুর্বোধ্য। তাঁদের নেতারা ‘এই হলে ওই করব, ওই হলে এই করব’ ধরনের কথাবার্তা যতবার বলেছেন, তার কিয়দংশ বারও দ্বিধাহীনভাবে বলেননি যে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবেনই। তাঁদের দ্বিধার কারণ হতে পারে যে সিদ্ধান্তের ভার তাঁদের হাতেই নেই অথবা রাজনীতির বাতাস কোন দিকে বইছে, সেই বুঝে পাল তোলার অপেক্ষায় আছেন নেতারা।
Post a Comment