২০২০ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রাইমারি সার্কুলার

primary circular 2020 news
২০২০ সালে নতুন করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সরকারি প্রাইমারির প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ হাজার ৩০০ এবং প্রায় ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা হবে। এজন্য ২০২০ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ২৫ হাজার ৩০০টি পদ সৃজন করা হয়েছে। গত দুই মাস আগে মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দেয়া হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। জুন থেকে নিয়োগ-সংক্রান্ত প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রাইমারি সার্কুলার

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ও ১০ হাজার শূন্যপদে (এ সংখ্যা কমবেশি হতে পারে) সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে একটি ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ফলে এবার প্রার্থী আবেদন করার পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেটিক ব্যক্তিগত ও একাডেমিক তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। এতে আবেদন যাচাই-বাছাই করতে সময়ক্ষেপণ হবে না।

আবেদনের যোগ্যতা :
আবেদনকারী নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) বা সমমান ডিগ্রি করা হয়েছে। গত বছর অনলাইন আবেদন ফি ১৬৬ টাকা হলেও এবার আবেদন ফি কিছুটা বাড়নো হচ্ছে। বুয়েট ও টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সহায়তায় আবেদন গ্রহণ, কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো, খাতা মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রাইমারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। অনলাইন আবেদনের জন্য এক মাস সময় দেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর নিয়োগ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আবেদন গ্রহণের জন্য ওয়েবসাইট ডেভেলপ (উন্নয়ন) করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আবেদনকারীর আবেদন সম্পন্ন হলে সার্টিফিকেট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে অটোমেটিক তথ্য যাচাই-বাছাই হয়ে যাবে।’ 

নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াটি প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতাভুক্ত হলেও প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এ স্তরের শিক্ষকদের রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া শূন্য সব পদে নিয়োগ দিতে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। দুই স্তরে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি তৈরি করা হয়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’

No comments

Powered by Blogger.